অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে বিশ্ময়। যেখানে প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ চলে যেত অপেক্ষা করতে হতো বিদ্যুৎ এর জন্য সেই অন্ধকার বাংলাদেশ এখন আলোকিত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। সরকারের কঠোর সমালোচকরাও স্বীকার করে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে প্রতিটি সেক্টরে।
আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারনে। মানুষের মৌলিক চারটি চাহিদার অন্যতম শিক্ষা । উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। শিক্ষা বান্ধব সরকার সময়উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নানা মুখি পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।
যেসব সুদক্ষ্য যোগ্য সৎ কর্মকর্তা সরকারের ভিশন ব্যস্তবায়ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরই একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বেগম বুলবুল আখতার যিনি অতিরিক্ত চিপ হয়ে EED চলতি দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৮৫ সালে জুন মাসে চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই ফিল্ডে এবং প্রশাসনিক কাজে ছিলেন অত্যান্ত মনযোগী। দেশের বিভিন্ন জেলায় দ্বায়িত্ব পালন করেছেন সুপারিনটেনন্টে প্রকৌশলী প্রধান অফিস সাভার,নির্বাহী প্রকৌশলী টাঙ্গাইল,নির্বাহী প্রকৌশলী রাজশাহী, নওগাঁ EED অফিসে। চাকুরী জীবনে যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই সহকর্মীদের ভালোবাসা অর্জন করেছেন সেবা গৃহিতাদের কাছে কোন রকম ঘুষ হয়রানি ছাড়া আস্থা ভাজন ছিলেন বেগম বুলবুল আখতার।
শিক্ষা প্রকৌশলে বছরে প্রায় শতশত কোটি টাকার নির্মাণ কাজ হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং বলিষ্ঠতার জন্য বেগম বুলবুল আখতারের অনেক সুনাম রয়েছে। সহকর্মীদের কাছে বেগম বুলবুল আখতার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা অপকটে বলেন একজন সৎ যোগ্য দক্ষ কর্মকর্তা ডিপাটমেন্টর প্রয়োজনেই বেগম বুলবুল আখতারকে আরো রাখা উচিৎ।
ব্যক্তি জীবনে এক পুত্র সন্তানের জননী বেগম বুলবুল আখতার। ছেলে বেসরকারী মোবাইল অপারেটর কোম্পানীতে জব করেন। বেগম বুলবুল আখতার কতটা সৎ ছিলেন সেটা বুঝা যায় ২০১৮ সালে যখন তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেন তখন নিজের সমস্ত জীবনের সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না তখন চিকিৎসার জন্য তার বন্ধু বান্ধব ও অনেক সহকর্মি গোপনে সহযোগিতা করেছিলেন। এমন একজন সৎ কর্মকর্তা আরো কিছুদিন কর্মরত থাকা শিক্ষার জন্য বড় প্রয়োজন।
Leave a Reply