রুগ্ন কাতর এই পৃথিবীটা আজ
ভারি বিমর্ষ বিবর্ণ হয়ে দাড়িয়ে,
বিভীষিকাময় ব্যধি বুকটা জুড়ে
ক্রমে ক্রমে যায় যে শুধুই ছড়িয়ে ।
চাঁদের মুখটা বড়ই মলিন লাগে
সূর্যটাও দুঃখের দহনে যেন পুড়ে ,
ঝর্ণা-নদী গুলো গান থামিয়ে দিয়ে
ভেসে যায় নীরবেই লোনা সাগরে।
অচেনা অদৃশ্য একটা ঘুনপোকা
ভয়ানক বেপরোয়া ভুবনের বুকে ,
ও ধরণীর মালিক, দয়া করো কিছু
তুমি ছাড়া কে আছে তারে রুখে?
ভেতরে ভীষণ ভাঙন, বিচ্ছিন্ন বাঁধন
দুর্দশার দুয়ারে কে দেবে হায় বাঁধ?
সকল স্থবির আজ, নিশ্চল নিরুপায়
শোনো অসহায় এ পৃথিবীর ফরিয়াদ ।
পীড়িত দেহটা তাঁর প্রীত হতে চায়
সুবাস-ভরা কোনো ফুলকেই ঘিরে,
সেই নব ফুলটা ফুটবে কবে কোথায়
কোন কাননে, কোন বা বনের ধারে ?
আরশের নির্মল হাওয়া ছড়িয়ে দাও
উড়ে যাক ভগ্ন দেহটার সমস্ত জরা ,
স্থবিরতা ভেঙ্গে শুরু হোক ছুটে চলা
প্রাণ চাঞ্চল্য হয়ে উঠুক এই রুগ্ন ধরা ।
(দ্রষ্টব্য: ফুল বলতে কোনো ঔষধ, নিরাময়ক বা প্রতিষেধকে বোঝানো হয়েছে ।
কাননে বা বনে বলতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশকে বোঝানো হয়েছে ।)
Leave a Reply