
বর্তমান খবর,জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।


শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল নাসের চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবর রহমান শাজাহান, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান।
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ১৭ আগষ্টের আলোচনা সভা চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরাকে লাঞ্ছিত করে। ওইদিন রাত ১০টার দিকে সংসদ সদস্য হোসনে আরা তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
জামালপুর ও শেরপুর সংরক্ষিত আসনের এমপি হোসনে আরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিটিং গিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হয়েও কোন মিটিং এর চিঠি পান না। এই সময় তাৎক্ষনিক ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে হোসনে আরা এমপির হাতে থাপ্পড়া দিয়ে লাঞ্চিত করে।
মহিলা এমপি বলেন,”আমি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির ১নং সম্মানিত সদস্য। অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনেক মিটিং হয় আমাকে জানানো হয় না। মিটিং উপস্থিত হয়ে আমি এই অভিযোগ করা মাত্রই ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উত্তেজিত হয়ে বলে আপনি কে যে আপনাকে মিটিং কখন হয় জানানো লাগবে। আপনি কিভাবে এমপি হয়েছেন সবই জানি। এই কথার জবাবে আমি কিভাবে এমপি হয়েছি তার উত্তর জানতে চাইলে সে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। গায়ে পর্যন্ত হাত দেয়। এই ঘটনা পরে আমি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অবিহিত করেছি। তবে এই ঘটনা নিয়ে আমার দলের কোন ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক আমি চাইনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,মহিলা এমপির মিটিং শুরু হওয়ার আগে আমাকে বলে আমি কেন মিটিং দাওয়াত পায় না। আমি বলি আমি তো দাওয়াত দেওয়ার কেউ না। এই নিয়ে তার সাথে দুই একটা কথা হয়েছে। তাকে লাঞ্ছিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যপারে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি সাংবাদিকদের বলেন,মাননীয় মহিলা এমপি হোসনে আরার অভিযুক্তটি সত্য নয়। কারণ আমি তাকে আমার পাশের চেয়ারে বসিয়ে সভার কার্যক সমাপ্ত করেছি।
এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল হক মাননীয় এমপি হোসেনে আরার সাথে কোনো রকমের খারাপ আচরণ করে বলে আমি দেখিনি । প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভিডিও ফুটেজ রয়েছে ভিডিও ফুটে দেখলেই বিষয়টি খোলসা হবে।
তিনি বলেন দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মাননীয় এমপি হোসনে আরা সভা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন ভাবে কুৎসা রটাচ্ছেন। এতে আওয়ামীলীগ ও তার নিজেরই ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যা কাম্য নয়।