
বর্তমান খবর, নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও দেশবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা কৃষক লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (৪ মে) বিকেল পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা কলেজ রোড থেকে সংগঠনগুলো একযোগে একটি বৃহত্তর বিক্ষোভ মিছিল সহকারে বের হয়ে কোর্ট রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড, আবুল কাশেম সড়কসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনগুলো।


এ বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্মানিত সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় দেশ যখন সকল সূচকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেশবিরোধী বিএনপি ও জামায়েত চক্র জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে, তাকে নিয়ে নানা ধরণের কটূক্তি করছে।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,আওয়ামী লীগ ঠুনকে কোনো দল নয়। আমরা মাঠে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনারা সতর্ক হোন,তা না হলে জনগণকে সাথে নিয়ে আপনাদের এমনভাবে প্রতিহত করা হবে যে, আপনারা মাঠে অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন না।
এ সময়ে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একটি গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, সলিল মল্লিক, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহম্মেদ জনি, সদর থানা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক দিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজলসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।