
বাংলাদেশসহ ৫১টি দেশ ও অঞ্চল ভ্রমণ করবে অরিজিনাল ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ভোক্তাদের জন্য কোকা-কোলার বিশাল ট্রফি ট্যুর কনসার্টের আয়োজন


বর্তমান খবর ডেস্ক নিউজ : পঞ্চমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করছে কোকা-কোলা। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফি আসছে ৮ জুন ২০২২ তারিখে। ফুটবলের সবচেয়ে লোভনীয় এই পুরস্কারটি সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশি ভক্তরা।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “এ বছর ৫১টি দেশে অরিজিনাল ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফিটি নিয়ে আসছি আমরা। এর মাধ্যমে ভক্তরা ফুটবলের প্রতি তাদের আবেগ প্রকাশের একটি সুযোগ পাবেন, উপভোগ করতে পারবেন রিয়েল ম্যাজিক। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ধাপে কোকা-কোলার এই ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ট্যুর ভক্তদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশের মতো একটি ফুটবলপ্রিয় দেশে মূল বিশ্বকাপের আগেই অরিজিনাল ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করতে পারাটা আমাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের বিষয়। আমাদের বিশ্বাস,এই আয়োজনে ভক্তদের কাছ থেকে আমরা দারুণ সাড়া পাবো।” ফুটবলের এই অনন্য প্রতীকটিকে দেখার জন্য এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে প্রতীক্ষিত স্পোর্টিং ইভেন্ট — ফিফা বিশ্বকাপ™ ২০২২ উপভোগ করার জন্য ফুটবল ভক্তদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে কোকা-কোলা। বিশ্বকাপজয়ী দল যে ট্রফি জিতে নেয়, ভক্তদের সেই অরিজিনাল ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি কাছ থেকে দেখার সু্যোগ করে দিচ্ছে কোকা-কোলা ও ফিফা।
হাজারো মানুষের জন্য, ফুটবলের প্রতি নিজেদের আবেগ তুলে ধরার এই সুযোগ সারা জীবনে হয়তো একবারই আসবে। একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১২ মে ২০২২ তারিখে, দুবাইয়ে কোকা-কোলার আয়োজনে ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ট্যুরের শুভ সূচনা হয়। এই ট্রফি ৫১টি দেশ ভ্রমণ করবে। এছাড়া, প্রথমবারের মতো, এই ট্যুর ফিফা বিশ্বকাপ™ খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী ৩২টি দেশ ভ্রমণ করবে।
ফিফা’র চিফ বিজনেস অফিসার রোমি গাই বলেন, “ক্রীড়া জগতের সুপরিচিত প্রতীকগুলোর একটি হলো ফিফা বিশ্বকাপ। এই ট্রফি ট্যুর আমাদের সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফুটবলপ্রেমীদের কথা তুলে ধরার একটি সুযোগ করে দিচ্ছে। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারে গিয়ে ট্যুরটি শেষ হবে, যার মাধ্যমে আমাদের ফুটবলকে সত্যিকার অর্থে বৈশ্বিক করে তোলার লক্ষ্য পূরণ হবে বলে আমরা আশাবাদী। দীর্ঘদিনের পার্টনার কোকা-কোলার সাথে মিলে আমরা ফিফা বিশ্বকাপের আনন্দ ও উত্তেজনা ভক্তদের সামনে নিয়ে আসতে পারছি।”
ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে ৯ জুন ২০২২ তারিখে ভোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ ট্রফি ট্যুর কনসার্টের আয়োজন করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই কনসার্টের সময় ভোক্তা ও ভক্তরা অরিজিনাল ট্রফিটি দেখার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ফিফা বিশ্বকাপ™ একটি আবেগের জায়গা। বাংলাদেশে ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের দেশে ট্রফিটি নিয়ে আসার জন্য ফিফা কর্তৃপক্ষ ও কোকা-কোলার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ২০১৩ সালে যখন ট্রফিটি এ দেশে এসেছিল, সবার কাছ থেকে আমরা দারুণ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম। নিঃসন্দেহে, এবার এই সাড়ার মাত্রা আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।”
কোকা-কোলার ফিফা বিশ্বকাপ™ ২০২২ ট্রফি ট্যুর যেসব জায়গায় ভ্রমণ করবে, সেসব জায়গায় সাসটেইনেবিলিটি কার্যক্রমের উন্নয়ন ঘটানো এই ট্যুরের একটি লক্ষ্য। কোকা-কোলার বর্জ্যমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে ভোক্তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস, পুনঃব্যবহার ও রিসাইকেল করার লক্ষ্য নিয়ে
এগোচ্ছে কোম্পানিটি। পাশাপাশি, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনার জন্য জ্বালানি সাশ্রয়ী যানবাহনও ব্যবহার করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ।
এছাড়াও, জুনের ৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কনসার্টের জন্য ডিজিটাল ট্র্যাকিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে ফিফার সাথে কোকা-কোলার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৭৮ সাল থেকে ফিফা বিশ্বকাপ™-এর অফিশিয়াল স্পন্সর হিসেবে আছে কোম্পানিটি। ১৯৫০ সাল থেকে প্রতিটি ফিফা বিশ্বকাপ™-এ স্টেডিয়াম বিজ্ঞাপন দিয়েছে কোকা-কোলা এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা সকল পর্যায়ে ফুটবলকে সমর্থন জানিয়ে আসছে।
এ বছর পঞ্চমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করেছে কোকা-কোলা ও ফিফা। ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ফিফা বিশ্বকাপ™ বিজয়ীদের ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি প্রদান করা হয়, যা ফিফা’র মালিকানায় থাকে। খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি ও ৬.১৪২ কেজি ওজনের এই ট্রফিটিতে দু’টি মানব মূর্তি দেখানো হয়েছে, যারা পৃথিবীকে উঁচু করে ধরে আছে। এর বর্তমান ডিজাইনটি ১৯৭৪ সালের। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিচিত ক্রীড়া প্রতীকের অন্যতম এই ট্রফি একটি অমু্ল্য নিদর্শন। তাই খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিই অরিজিনাল ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফিটি হাত দিয়ে স্পর্শ করার ও ধরে রাখার সুযোগ পান, যাদের মধ্যে আছেন সাবেক ফিফা বিশ্বকাপ™ বিজয়ী ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ।
নিয়মানুসারে, অরিজিনাল ট্রফিটি অবশ্যই ফিফা’র মালিকানায় থাকতে হবে এবং অন্য কেউ এর পূর্ণ মালিকানা পাবে না। তাই, ফিফা বিশ্বকাপ™ জয়ী দলকে অরিজিনাল ট্রফিটি সাময়িকভাবে নিজেদের কাছে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর তাদের স্থায়ীভাবে টুর্নামেন্ট সংস্করণ ট্রফি বা ফিফা বিশ্বকাপ™ বিজয়ী ট্রফিটি প্রদান করা হয় (খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি হওয়ার পরিবর্তে এই ট্রফি হয় গোল্ড-প্লেটেড, এবং এতে টুর্নামেন্টের সাল, আয়োজক দেশের নাম ও সে বছরের বিজয়ী দলের নাম খচিত থাকে)।
কোকা-কোলার ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি ট্যুর সবার জন্য ফুটবল ইতিহাসের একটি অংশকে ধারণ করার ও এই খেলার প্রতি তাদের আবেগকে একে অপরের সাথে ভাগ করে নেওয়ার একটি অসাধারণ সুযোগ। অরিজিনাল ফিফা বিশ্বকাপ™ ট্রফি দেখার এই আবেগ ভক্তদের স্মৃতিতে চিরকাল জেগে থাকবে।
কোকা-কোলা বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও থামস-আপ কারেন্ট। কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) স্বাধীন/স্বতন্ত্র, অনুমোদিত ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত। এই সিস্টেম বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০ ও ২১,০০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সারা দেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “উইমেন বিজনেস সেন্টার” এর লক্ষ্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।
ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। “ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট” গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা। এছাড়া, বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে আইডব্লিউইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। টিসিসিএফ-এর সহায়তায় মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০ লক্ষ লোকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।