
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
“স্বর্ণালী সম্ভারে সাজাই জীবন” এবং ‘ঐতিহ্যের লালন ও নৈতিক মননের বিকাশ’ এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আরামনগরস্থ স্থানীয় আব্বাস আলী খাঁন মিলনায়তনে গতকাল দুপুরে জয়পুরহাট কালচারাল একাডেমির আয়োজনে শিল্পী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কালচারাল একাডেমির সভাপতি হাসিবুল আলম লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন জয়পুরহাট কালচারাল একাডেমির প্রধান উপদেষ্টা ফজলুর রহমান সাঈদ।

একাডেমীর সেক্রেটারী বনি আমিন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন একাডেমির উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া মন্ডল।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হানাইল নো’মানিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাও: সাইদুর রহমান, তমুদুন শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি ফেরদৌস হোসেন, আইডিইবি’র সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাতেন, রেনেসা শিল্পী গোষ্ঠীর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মর্তুজা, উদ্ভাবন সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন, পরিচালক তানভীর আহমেদ, সাবেক পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, কালচারাল একাডেমির সহকারী পরিচালক খোকন আলী, বিশিষ্ট শিল্পী ওমর ফারুক ও শাওন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসলামী সংস্কৃতি সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে জনগনের মাঝে ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের ইসলামি শিল্পীদের এগিয়ে আসতে হবে। ইসলামী সংস্কৃতিকে শক্তিশালী না করলে সমাজে অপসংস্কৃতির বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়।
এ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দাড়ি-টুপি পরিহিত মানুষদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে ইসলামী সংস্কৃতিকে কোণঠাসা করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত জাতীয় চেতনা জাগ্রত করার মূল চালিকা শক্তি হলো ইসলামী সংস্কৃতি।
বক্তারা আরোও বলেন, অতীতে যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলো, তারাই সংস্কৃতি অঙ্গনকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই গান, কবিতা, সাহিত্য, নাটক—প্রত্যেক ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। তাহলেই নতুন প্রজন্ম সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।
সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা সমাজ থেকে কুসংস্কার, অনৈতিকতা ও বিভাজন দূর করে মানবিক সমাজ গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকরা ঘোষণা দেন, আগামীতে নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে জয়পুরহাটে একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।