রংপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বাড়ীতে আগুন, ওসি অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৫

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো:

রংপুরে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতা ওই যুবকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে। গত ১১ মে রবিবার দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে উত্তেজিত জনতা। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মুক্ত করা হয়।

এলাকাবাসী বলেন,স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় ফজলু মিয়া একাই বাস করতেন। এই সুযোগে রবিবার সকালে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বালুচাপা দিয়ে রাখেন তিনি। জানা যায়,সকালে উপজেলার বালুয়ামাসিমপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম আট বছরের কন্যাশিশুকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে প্রতিবেশী ফজলু মিয়ার বাড়ির ভেতরে বালুচাপা দিয়ে রাখা শিশুটির মরদেহের খোঁজ পান।

ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা ফজলুকে আটক করে এবং তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে। শিশু হত্যাকারী ফজলু মিয়ার ফাঁসির দাবি করেন এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে জনতার হাতে আটক ফজলু মিয়াকে হেফাজতে নেয়।

এসময় তিনি গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্থানীয় লোকজন তাকে ওই বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, স্থানীয় জনতা উত্তেজিত ছিলেন।