বর্তমান খবর,নওগাঁ প্রতিনিধি ।। নওগাঁ জেলা প্রশাসকের আয়োজনে ২০২৪ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় নওগাঁ সদর,উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে স্মরণ সভা শুরু হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল,সিভিল সার্জন নুজরুল ইসলাম,মেজর মাহামুদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম ও নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলার নির্বাহী অফিসার।
আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক,রিয়াদুস সালেহীন,আন্দোলনে আহত হওয়া নাহিদ হাসান,ও শহীদ শারবনের ভাই মুস্তাফিজুর রহমান। নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বক্তবে বলেন,সর্বদায় আমার আন্দোলনে আহত হয়েছে তাদের পাশে ছিলাম এখন ও আছি এবং যারা আহত হয়েছেন অনেকের নাম সরকারের তালিকায় নেই তাদের কে আবহনা জানাচ্ছি ২৪ তারিখ এর মধ্যে সঠিক তথ্য নিয়ে আমাদের কাছে জমা দিবেন।
নওগাঁ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম বক্তব্যে বলেন,একজন আহত তার যেই আবেগ সেটা হয়তো আমার বুঝবোনা তার যে কষ্ট প্রতিটা মিনিট প্রতিটা সেকেন্ড তার সাথে তার পরিবার কেও সেই কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে, আমাদের ও পরিবার আছে আমরা ও সাধারণ মানুষ তাই কষ্ট টা কিছু টা হলেও আমার বুঝি,আমাদের এমন কিছু করে যাওয়া উচিত যাতে আন্দোলনে যারা আহত হয়েছে তারা ভবিষ্যত পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বক্তব্যে আরও বলেন আমরা আজকে ওয়াদা করছি সব সময় যে কোন প্রয়োজনে আপনাদের পাশে থাকব,এবং এই আন্দোলনে আহত যুদ্ধা ও যুদ্ধাদের পরিবার সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। শহীদ আবু সাঈদ,ওয়াসিম,মুগ্ধ সহ ও অনেকে শহীদ হয়েছে তারা কোনো ব্যক্তি ছিল না তারা ছিল আমাদের আশার প্রদীপ, ২০২৪ জুলাই এটা কোনো ব্যক্তির আন্দোলন ছিল প্রত্যেকটা শ্রেণী পেশার মানুষের আন্দোলন ছিল পাশাপাশি পুরো জাতির আত্মনাথ ছিল ফ্যাসিটের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার,আমাদের মনে করিয়ে দেই আহতদের আত্মনাত এবং বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়তে তাদের অবদান আমরা ভুলে গেলে চলবেনা এই শহীদ এর আত্মত্যাগ সবার হৃদয়ে ধারণ করে বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পরে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।