বর্তমান খবর,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাফিজা খাতুন (৩৮) নামের এক আয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী কবির হোসেনকে (৩৮) আটক করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। আটককৃত কবির হোসেন জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলপাড়ার জাকের আলীর ছেলে।
শনিবার ২৭শে জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আসামি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ হাসান।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ২য় তলায় হাফিজা খাতুনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। সহকর্মীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যার খবর শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় জীবননগর থানা পুলিশ। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ এবং সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা।
নিহত হাফিজা খাতুন জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে এবং বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী। তবে কবির হোসেন তাঁর ২য় স্বামী ছিল। হাফিজা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আয়ার কাজ করতেন।